বরুড়া প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামে বরুড়া উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মৃতঃ আবু তাহের এমপি ২০ শয্যা ২ তলা বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতাল স্হাপন করেন।তিনি হাসপাতালের ভবন নির্মাণের আগে মৃত্যু বরন করায় ২০০৪ সালে ভবন নির্মাণের পরে বরুড়া উপজেলার একের পর এক এমপি যায় আবার আসে কিন্তু কেউ হাসপাতালটির কার্যক্রম চালু করেন নি।বর্তমানে হাসপাতালের ভিতরে বেহাল অবস্থা। বরুড়া উপজেলা সদর থেকে আদ্রা ইউনিয়ন যেতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগে, তখন এলাকার গরীব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে হসপিটালটি স্হাপন নিজের এলাকায়। কিন্তু আজ ও পর্যন্ত হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হয় নি কেন, প্রশ্ন উঠছে কোন হদিস পাওয়া যায় নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আড্ডা- জগৎপুর সড়কের পাশে অবস্হিত সোনাইমুড়ী সরকারী হাসপাতালের ২ তলা বিশিষ্ট ভবন ভিতরে ডাক্তারদের চেম্বার, মহিলা ওয়ার্ড ও পুরুষ ওয়ার্ড সহ চিকিৎসকদের জন্য কোয়ার্টার সবই রয়েছে নেই কোন কার্যক্রম।হাসপাতালটির ভিতরে লাতা পাতা খড় কুটো পড়ে রয়েছে, নেশা ও মদ খুরদের আড্ডার স্হান হয়ে দাড়িয়েছে।ভিতরে প্রত্যেক রুমগুলো মনে হয় নেশা গ্রস্হ লোকের বসবাস করে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায় হাসপাতালে বিকাল বেলা ও রাতে হাসপাতালের ভবনের ভিতরে চলে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড গাজাঁ মদ, জুয়ার আসর, গ্রামের যুবক তরুনরা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের জায়গাটি ছিল সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন এমপি সাহেবের হওয়ায় হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না, জাকারিয়া তাহের এমপি সাহেবের কাছে কয়েকবার জমিটা সরকারের নামে করে দিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয় , তিনি রাজি না হওয়ায় এখনো হাসপাতাল চালুর কাজ হচ্ছে না। এই এলাকার মানুষ মনে করেছিল বরুড়া উপজেলা সদর অথবা কুমিল্লা না গিয়ে তাদের গ্রামের হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা সেবা পাবে।কিন্তু এখনো তাদের চিকিৎসা সেবা কপালে জুটে নি।
এই বিষয়ে সোনাইমুড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আবুল কাশেম কুমিল্লা নিউজকে জানান এই হাসপাতালের ভবনে কোন কাযক্রম না থাকায় প্রতিদিন নেশাগ্রস্হ, মদ, জুয়ার আসর, আড্ডা ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজ হচ্ছে, এই কারনে গ্রামের যুবক ছেলেরা খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের সুদৃৃষ্টি কামনা করছে গ্রামের সাধারন জনগন। আমাদের ইউনিয়নে দুইজন এমপির বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও আমরা এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত কেন হবো, কেন চালু করা হয় নি হাসপাতালের কার্যক্রম নিয়ে জনগনের নানা প্রশ্ন থাকছে।আমাদের গ্রামের চিকিৎসার জন্য সোনাইমুড়ী গ্রামের মৃতঃ আবু তাহের এমপি সাহেব নিজ গ্রামে হাসপাতালটি স্হাপন করেন, কিন্তু তিনি মারা যাবার পরে ২০০৪ সালে নির্মান শেষ হওয়ার পরে ও কোন এমপি হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করেন নি।
বরুড়া উপজেলা সচেতন নাগরিক মনে করেন বরুড়া উপজেলায় একটি উপজেলার স্ব্যাস্হ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন হাজারো রোগী চিকিৎসা নিতে ভীড় করে, কোন রোগী চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ী যেতে হয়,আর সোনাইমুড়ী গ্রামে হাসপাতালটি তৎকালীন সাবেক আবু তাহের এমপি এলাকার গরীব অসহায় মানুষ সঠিক চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য স্হাপন করেন। এখন সোনাইমুড়ী সরকারী হাসপাতালটির সমস্যা গুলো সমাধান করে নতুন করে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। বর্তমান বরুড়া উপজেলা সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এমপি মহোদয়ের গ্রামের বাড়ি আদ্রা ইউনিয়ন তাই নিজের ইউনিয়ন বাসীর জন্য হলে ও এই হাসপাতালটি চালু করার ব্যবস্হা গ্রহন করবেন।তাই এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলার বর্তমান সংসদ সদস্য জনাব নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এমপি মহোদয়ে সুদূষ্টি কামনা করছে আদ্রা ইউনিয়নবাসী।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page